ছয়ের দশকে ছাত্র আন্দোলনে মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট আন্দলন জড়িয়ে পড়ে ছিলাম , মার্ক্স লেনিন,স্তালিন ,মাও সে তুং , হ চি মিন , চে গুয়েভারা আমাদের স্বপ্নের নায়ক । তারা একটা সুন্দর পৃথিবী ও সমাজের কল্পনা করে ছিলেন যে খানে শোষণ থাকবে না । মানুষ মানুষ কে ভাল বাসবে । বিশ্বাস থাকবে ,হিংসা দ্বেষ প্রতিহিংসা প্রসঙ্গ থাকবে না । আর থাকবে প্রশ্ন করার অধিকার আর উত্তর খোজা । শোষণ হীন সমাজ গড়তে দেশে দেশে কমিউনিস্ট পারটি গড়ে উঠেছিল আর তার শাখা হিসাবে এরা কাজ করত । কিন্তু ১৯৯২ সালে উপলব্ধি করলাম পূর্ব ইউরোপ ও সোভিয়েত রাশিয়ার ঘটনাবলি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল । পার্টির আদর্শের মধ্যে সমস্যা আছে । আর সংগঠন এর মুল সুত্র গণতান্ত্রিক কেন্দ্রি কতা সুত্রতেই গোলমাল আছে ।সর্ব স্তরে স্থাবক দের দাপট বৃদ্ধি , কমিউনিস্ট দের বাংলা মানুষ অনেক সুযোগ দিয়েছে । সুযোগ সন্ধানীরা দলে স ত নিষ্ঠা বান কর্মী দূরে সরিয়ে দিয়েছে । আমি দেখেছি দলে ভিন্ন মত পোষণ করলে স্তাবক দের দিয়ে হেনস্থা । সেদিন দলের এই অধঃ পতনের স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন ভাবে আমি দেখেছি । আজও আমি নিয়মিত কমিউনিস্ট পত্র পত্রিকা পাঠ করি । রাজ্যের মানুষ কমিউনিস্ট শাসনের পরিবর্তন করে মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করে ছিল । কিন্তু এরা মানুষের প্রত্যাশা পুরনের ব্যর্থ । মমতা ব্যানারজি নিজেই শেষ করে দেবেন কারন তার দল সেই আপনাদের মাতব্বর বসে পড়েছে । মমতা ব্যানারজি পক্ষে সম্ভব নয় এদের নিয়ন্ত্রন করা । তাই বাংলা তার ভুল সং শোধন করবে । কিন্তু এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের তো ভুলে ভরা তাই একুশ শতকে কলকাতা প্লেনাম পথ দেখাবে আশা করে ছিলাম পথ দেখাবে । কারন কমিউনিস্ট পার্টি তার মতাদর্শের কারনে ভারতের জনগণের কাছে পৌছাতে পারে নি । বাংলা তাদের সুদীর্ঘ ৩৪ বছর গণতান্ত্রিক কাঠামো তে তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় এমনকি এই বুর্জুয়া ব্যবস্থা তে প্রধান মন্ত্রীর পদের সুযোগ দিয়ে ছিল । তারা সে সুযোগ ব্যবহার করতে পারেনি । জন্ম কাল থেকে তাদের প্রধান শত্রু নির্ধারণ করতে পারেনি । আমাদের কমিউনিস্ট দের কোন সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়নি । তাদের উদ্যেশ্য রাজনৈতিক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল । এরা চুপ থাকছে ভোট কমে যাবে বলে । তাদের ভাবতে হবে নিজেদের জীবন চর্চা কাজ ও বাস্তব যেন এক হয় । ভিতরে বাহিরে দ্বিচারিতা নিয়ে আমাদের কমরেড ঘাড়ে পৈতা শাল গ্রাম শিলা পুজা করে কমিউনিস্ট দর্শনের কথা শোনাবেন এই পথে জনগণ তান্ত্রিক বিপ্লব হবে না এই কথা বলার সুযোগ হয়ে ছিল শ্রদ্ধেয় বিমান বসু কে আমি আসছিলাম অটল বিহারী বাজপেয়ী জনসভা থেকে । কোল্ড ফিল্ড এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে দুর্গা পুর আসার ট্রেনে কথা হয়েছিল । আশা বিমান বাবুর স্মরণে আছে আর আমি অটল বিহারী জনসভা থেকে ফিরছিলাম সেখানে তিনি আমার পিঠে হাত দিয়ে বলে ছিলেন " বেটা জিনে কে লিয়ে কিত্নে ধন চাহিয়ে "
আজ তার স্বপ্নের ভারত এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের দিকে এগিয়ে চলেছে ।